পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ৫ দোকান-বাড়িতে ডাকাতি: ৪০ ভরি সোনা,২০ লক্ষ টাকা লুট
ভাঙ্গুড়ায় কারণ দর্শাণোর নোটিশকে পাত্তা দিচ্ছেন না সহকারি শিক্ষিকা

ভাঙ্গুড়া (পাবনা)প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার আরাজি পার-ভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ইফফাত মোকাররমা সানিমুনের বিরুদ্ধে এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে । সন্তান ও বাবার চিকিৎসার অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তার বাড়ি উপজেলার চরভাঙ্গুড়া গ্রামে হলেও তিনি পৌর শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিশাত রেহানা গত ৩১ জুলাই তাকে শোকজ করেন। এতে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয় । এরপরও এখন পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেননি এমনকি শোকজের জবাবও দেন নি বলে জানা গেছে। এদিকে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাবে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তার ব্যাংক কর্মকর্তা বান্ধবীর ১৫ ভরী স্বর্ণের গহনা চুরির অভিযোগে গত ৯ জুলাই ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মামলা হয়। তবে ওই মামলায় বর্তমানে তিনি ৬ সপ্তাহের জামিনে রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর একমাসের জন্য অসুস্থতাজনিত ছুটি নেন শিক্ষিকা সানিমুন। পরে আরো কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়ে নেন তিনি। সর্বশেষ তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে গত ২৬ মে থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত দুই মাসের বিশেষ ছুটি নিয়ে তা প্রধান শিক্ষিকাকে অবহিত করেন। কিন্তু তার এই ছুটি মঞ্জুর করা হয় না। অবশেষে বিনা ছুটিতে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় গত ৩১ জুলাই তাকে শোকজ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেননি এমনকি শোকজের জবাবও দেননি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিশাত রেহানা বলেন, অসুস্থতাজনিত ছুটি শেষ হওয়ার পরও ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে যোগদান না করায় তাকে গত ৩১ জুলাই শোকজ করা হয়। তারপরও তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি, এমনকি শোকজের কোনো জবাবও দেননি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ইফফাত মোকাররমা সানিমুন বলেন, আমার সন্তান ও বাবার অসুস্থতার জন্য এতোদিন ছুটিতে ছিলাম। আর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত দুই মাস অর্জিত ছুটি কাটিয়েছি। আমাকে শোকজ করা হয়েছে ৩১ জুলাই। আর আমি নোটিশ পেয়েছি গত ৭ আগস্ট। তাই শোকজের জবাব দেইনি।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে একটা মামলা হয়েছে। তাই এ মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে ফিরবো না।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সেকেন্দার আলী জানান, ওই শিক্ষিকা এতোদিন অসুস্থতা জনিত ছুটিতে ছিলেন। তবে তার দুইমাসের বিশেষ ছুটিটা মঞ্জুর করা হয়নি। আর ছুটি শেষে কর্মস্থলে না ফেরায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার সবকিছুই জেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।