• December 23, 2024, 10:09 pm
শিরোনাম

বদলে গেল বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম

Reporter Name 23 Time View
Update : রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
বদলে গেল বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম

যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবর্তে এ সেতুর নাম ‘যমুনা রেলসেতু’ করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু থাকছে না। এটি এখন যমুনা রেলসেতু নামেই উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই রেলসেতু উদ্বোধন করা হতে পারে।’

তিনি আরও জানান, এখন যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে মিটারগেজের যে রেলসংযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই, সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। এই সেতুতে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একেকটি ট্রেনের ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। সেতুর ওপর একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। সবমিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

সেতুর প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের কাজ করছে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়াশিমা।

নতুন এই রেলসেতুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানিয়েছেন, নতুন এই রেলসেতু দিয়ে ব্রডগেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ও মিটারগেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সিবিআইএসের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। সেতু চালু হওয়ার পরে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগতে পারে সিবিআইএস চালু করতে। সিবিআইএস চালু না হওয়ায় মূল সেতুতে নয়, রেলের গতি কমবে সেতুর কানেক্টিং দুই স্টেশনে। নন-ইন্টারলিংক সিস্টেম চালু থাকায় স্টেশনের লুপ লাইনে যখন ট্রেন প্রবেশ করবে, তখন তার গতি কমিয়ে আনতে হবে ১৬ কিলোমিটারে। তবে লুপ লাইন পেরিয়ে মূল সেতুতে রেল ফুল স্পিডে চলাচল করতে পারবে। রেললাইন ও ব্রিজের সক্ষমতা রয়েছে।

যমুনার পুরোনো সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালুর পরে আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রেলওয়ে। তবে সেই বাস্তবতা নেই রেলওয়েতে।

Share


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পদ্ম
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com