শফিউল আযম:কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ও পাবনার কৃতি সন্তান মামুনুর রশিদ খান বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশকে ঢেলে সাজাতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তার মধ্যে কৃষিকে তিনি বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি কৃষি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে রোড ম্যাপ তৈরি করেছিলেন। কৃষকের থেকে সরাসরি ধানচাল সংগ্রহ করার পদ্ধতি তিনিই চালু করেন। সারাদেশে কৃষকের জন্য বিদ্যুতায়ন করেন। কৃষকের সুবিধার জন্য সার্বিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আগামীত তারেক রহমানের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট মুক্ত বাংলাদেশ হবে।
সারা দেশে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের দড়িভাউডাঙ্গা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
তিনি বলেন, এরশাদ সরকার দুর্নীতি করে শেষমেশ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন। এরপর বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের কৃষকের জন্য অবদান রাখেন। রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকদের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন করে গেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ করতে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেন। কৃষি সংক্রান্ত বিষয় সুবিধা করতে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কৃষি অফিসার নিয়োগ দেন।
এই সরকার কোন বন্যায় সাহায্য মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। ১৭ বছরে সিলেটে বেশ কয়েকদফা বন্যা হলেও শুধু হেলিকপ্টারে গিয়ে কার্যক্রম দেখেছে হাসিনা সরকার। কাউকে সহায়তা করেনি। কিন্তু আমরা দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে বন্যাকবলিত কৃষি অঞ্চলর প্রকৃত কৃষকদের জন্য পুনর্বাসনের কাজ করেছি।
হাসিনার শাসন আমলের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, হাসিনা ছিল স্টিকার সরকার, লুটের স্টিকার সরকার। দেশকে দুর্নীতির স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছে। এখন সবাই দুর্নীতির চোখেই দেখে বাংলাদেশকে।
তার শাসন আমলে কোটি কোটি ডলার পাচার করে কানাডার বেগম পাড়ায় হাজারো বাড়ি বানিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে জায়গা-জমি করে শতশত বাড়ি বানিয়েছে এখন আমার দেশের কৃষকরা সার-কিটনাশক ও বিজ পায় না।
দেশে ফ্যাসিস্ট জঙ্গিদের শাসনের অবশান হয়েছে। মুখে দাঁড়ি মাথায় টুপি দেখলেই জঙ্গি তকমা দেওয়া হতো। আসলে জঙ্গি তো ছিল ছাত্রলীগ যুবলীগ, আওয়ামী লীগ। শিক্ষাথীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছো।
বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করলে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফসলের ক্রয় কেন্দ্র করা হবে। গোডাউনে যেতে হবে না৷ রাস্তায় দৌড়াতে হবে না। কৃষকদের মাঝে বিমা প্রথা চালু করা হবে। ফসলে ক্ষয়ক্ষতি হলেও এগুলো বিএনপি সরকার ক্ষতিপূরণ দিবে। কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলা হবে। ৮০ টাকার চাল ৮০০ টাকার করার সিস্টেমের ব্যাবস্থা করা হবে। সমবায় ভিত্তিতে চাষ পদ্ধতি। বিনা সুদে কৃষকদের লোন দেওয়া হবে। সন্তানকে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী করতে তারেক রহমানের নির্দেশ।
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি শওকত আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বর সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবুল হাশেম এবং সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র সহ- সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বাচ্চু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মুন্না,
সাংগাঠনিক সাম্পাদক আমিরুল ইসলাম নিক্সন, পাবনা সদর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মো: সাইদুল ইসলাম ছাপ্পান প্রমুখ।