বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশের ৯টি জেলায় ৬৩০টি ঘর নির্মাণে সহায়তা দেবে সৌদি আরব। এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকায় মোট ৬ হাজার১৯৫ খাদ্য ঝুড়ি (ফুড বাস্কেট) সহায়তা দেবে দেশটি। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্রের (কেএসরিলিফ) অর্থায়নে এ সহায়তা দেওয়া হবে। আজ বুধবার ঢাকার সৌদি দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকার সৌদি দূতাবাসে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্রের (কেএসরিলিফ) অর্থায়নে বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য ঝুড়ি বিতরণ ও ঘর নির্মাণের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সৌদি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন আব্দুল আজিজ ফাহাদ এম আল ইব্রাহিম বলেন, ‘বাদশাহ সালমানের মানবিক সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সুনবুলাহ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বন্যাদুর্গত এলাকায় মোট ৬ হাজার ১৯৫টি খাদ্য ঝুড়ি বিতরণ এবং বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশের ৯টি জেলায় মোট ৬৩০টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
সুনবুলাহ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ শাকির হোসাইন বলেন, ‘আমরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে চাই। যারা প্রকৃতপক্ষেই ক্ষতিগ্রস্ত, সেসব বাড়ি ভিজিট করেই আমরা সহায়তা করব।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কনস্যুলার) মোস্তাফা জামিল খান বলেন, ‘সৌদি আরব আমাদের খুব ভালো বন্ধু। যেকোনো দুর্যোগের সময় তারা আমাদের পাশে দাঁড়ায়। এবারও সৌদি আরব আমাদের সহায়তা করতে পাশে থাকবে। সে জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
প্রতিটি খাদ্য ঝুড়িতে মোট ২৪ কেজি খাদ্য থাকবে থাকবে; চাল ১০ কেজি, মসুর ডাল ৭ কেজি, ভোজ্য তেল ৩ লিটার, লবণ ১ কেজি ও চিনি ৩ কেজি। সর্বমোট ৬ হাজার ১৯৫টি ফুড বাস্কেট জেলাগুলোর ১৩টি স্থানে বিতরণ করা হবে।
এছাড়া ৯টি জেলায় বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সর্বমোট ৬৩০টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০ ফুট দৈর্ঘ্য, ১০ ফুট প্রস্থ ও ১৩ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট প্রতিটি ঘর ইটের তৈরি পাকা ফ্লোর ও টিনের বেড়া এবং ছাউনি দ্বারা নির্মিত হবে। যেসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ করা হবে, সেগুলো হলো- নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, বাগেরহাট, লক্ষ্মীপুর ও ভোলা।