বিশেষ প্রতিনিধিঃর্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা র্যাবের আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২৯/১১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত ০০.৩০ ঘটিকায় নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানাধীন কচুয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত মামলার এজাহারনামীয় ০৩ নং আসামী পাবনা জেলা- ভাঙ্গুরা উপজেলার কৈডাঙ্গা গ্রামের হাফিজুল পুত্র মাহফুজ (২২), কে গ্রেফতার করে।
গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা থানাধীন কৈডাঙ্গা এলাকায় মোঃ শফিকুল ইসলাম (৫৫), পিতা-মৃত আঃ আজিজ খান, সাং-ভাঙ্গুরা খাঁপাড়া, থানা-ভাঙ্গুরা, জেলা-পাবনা এর নাবালিকা মেয়ে মোছাঃ সানজিদা খাতুন (১৬),গনধর্ষনের শিকার হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা থানায় ০৪ জনকে আসামী করে একটি গণধর্ষণ তৎসহ হত্যা মামলা দায়ের করে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম মোছাঃ সানজিদা খাতুন ভাঙ্গুরা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন। কলেজে লেখাপড়া চলাকালীন নীরব নামে স্থানীয় বখাটে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে ভিকটিমের সাথে প্রেমের আড়ালে কৌশলে তার আপত্তিকর ভিডিও মোবাইলে ধারন করে বখাটে নীরব। এরপর প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করে ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষন করে। এভাবে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে পুনরায় ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ কলেজ থেকে ভিকটিম সানজিদাকে কৈডাঙ্গা গ্রামে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায় বখাটে নীরব। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা নীরবের দুই বন্ধু মাহফুজ এবং রমজান পালাক্রমে ধর্ষন করে অসহায় সানজিদাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের কান্নাকাটি এবং চিৎকারের আওয়াজ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে নিজ বাড়িতে গিয়ে ভিকটিম অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার আরও অবনতি হলে ভিকটিমকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এই অবস্থায় ভিকটিম ঐ দিন বিকাল অনুমানিক ০৪ টার দিকে মৃত্যুবরণ করে। উক্ত গণধর্ষন ও হত্যার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা র্যাবের সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।