জমিজমা নিয়ে বিরোধ ভাইদের দেশিও অস্ত্রের আঘাতে মারাক্তকভাবে আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওমর ফারুক (৪৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ নভেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে পাবনা বেড়া পৌরসভা-৮নং ওয়ার্ডের বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লায়।
এ ঘটনায় বেড়া মডেল থানায় আহত ওমর ফারুক এর স্ত্রী মোছাঃ খাদিজা খাতুন (৩৬) একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লার মোঃ সামাদ প্রামানিক (৯০) তাহার পাঁচ ছেলে এবং তিন মেয়ে সন্তানদের কে স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনের মধ্যস্থতায় জমিজমা ভাগ-বাটোয়ারা করিয়া দেওয়ার জন্য বসেন। এক পর্যায়ে ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ভাইদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এতে আমার স্বামী’কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। উক্ত সময় আমার স্বামী গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে মোঃ রমজান প্রামানিক হুকুম দিয়া বলে যে, শালাকে জীবনের মত শেষ করিয়া দে, এই হুকুম পাওয়া মাত্রই অভিযুক্তরা সকল আমার স্বামীর উপরে ঝাপাইয়া পরে এবং এলোপাথারী মারপিট করে।
এতে তাহার বিভিন্ন অংশে ছিলাফোলা ও থেতলানো জখম করে। মারপিটের একপর্যায়ে মোঃ রমজান প্রামানিক হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর পেটের মাঝ বরাবর কোপ দিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ঐ সময় মোঃ আশরাফুল প্রামানিক হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর পেটের মাঝ বরাবর পোচ দিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে চিকিৎসকরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে।
সেখান থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে ওমর ফারুক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তারা তাহার পেটে প্রায় ৪০ টি সেলাই করেছেন। এ ঘটনার পরও অভিযুক্ত আসামীগণ বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদান করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ অলিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওমর ফারুকের স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে তিনি জানান।