বাংলাদেশে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের ঘটনায় দেশবিদেশে আলোচনা-সমালোচানা চলছে। দেশ গড়িয়ে এই বার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়েও উঠে এসেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, বাংলাদেশে ১৮৪ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল জানান, এ ঘটনা দুঃখজনক হবে যদি তা সত্য হয়। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যেকোনো দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরতে এটি অপরিহার্য।
এর আগে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বাংলাদেশে পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আহ্বান জানায় কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। ১১ নভেম্বর সিপিজের সিইও জোডি গিনসবার্গ ড. ইউনূসের উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের অধিকার রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
চিঠিতে সিপিজে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলে, এই আইনসহ যেসব আইন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি করে, তা বাতিল করা উচিত। এছাড়া তারা বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হওয়া শতাধিক মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে এবং কারাগারে আটক সাংবাদিকদের সুষ্ঠু বিচারের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সিপিজে আরও জানায়, সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনার দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত সুরক্ষা আইন প্রণয়ন প্রয়োজন, যা সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।