• December 24, 2024, 1:25 am
শিরোনাম

সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কী হয়?

অনলাইন ডেস্ক 15 Time View
Update : রবিবার, নভেম্বর ১০, ২০২৪
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কী হয়?
সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে কী হয়?

খালি পেটে কালোজিরা খাওয়া খুবই উপকারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে কালোজিরা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। কারণ এটি হজমকারী এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং এটি পেটের ফোলাভাব ও গ্যাস কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া খাদ্য থেকে পুষ্টির শোষণে কালোজিরা সাহায্য করতে পারে।

ডায়েবেটিস প্রতিরোধ করে

ডায়েবেটিস বা বহুমূত্র রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয় কালোজিরা। পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কালোজিরার তেলে রয়েছে পুষ্টি উপাদান। প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ তেলের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খেলে ডায়েবেটিস নিরাময় করা সম্ভব।

মাথা ব্যথা দূর করতে

মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

ডায়েটে কাজে আসে

ডায়েটে কালোজিরা রাখলে উপকার মেলে। রুটি ও যেকোনো তরকারির সঙ্গে কালোজিরা খেলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়। অনেকে মধু ও পানির সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। তবে ওটমিল ও টক দইয়ের সঙ্গে কালোজিরা খেলে আরও ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

বিভিন্ন ব্যথা ও মুখের দাগ দূর করে

লেবুর রস কালোজিরা তেল একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে মুখের ব্রণ ও দাগ দূর হবে। এছাড়া লেবুর রস ও কালোজিরার তেল মুখে লাগিয়েও ব্রণ দূর করা যায়। অনেকে মাথা ব্যথা রোগের জন্য কালোজিরা খেয়ে থাকেন। এটি একটি পুরনো ঘরোয়া প্রতিকার। সরিষার তেলের সঙ্গে কালোজিরা তেল মিশিয়ে হাঁটু বা অন্যান্য জয়েন্টে ম্যাসাজ করলে হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করা সম্ভব।

সর্দি-কাশি দূর করে

সর্দি-কাশির সময় আরাম পেতে এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা এককাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলেও উপকার মেলে। দিনের মধ্যে তিনবার এভাবে খেলে সর্দি-কাশি রোগ দূর হয়ে যাবে। পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুঁকলে শ্লেষ্মা তরল হয়। এছাড়া এক চা চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা চামচ মধু ও দুই চা চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দিকাশি কমে যায়।

হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ প্রতিরোধ করে 

হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগের ক্ষেত্রে কালোজিরা অনেক উপকারী। নিয়মিত কালোজিরার ভর্তা খেলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট দ্রুত উপশম হয়। শুধু কালোজিরা খেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়।

চোখের ব্যথা দূর করতে

রাতে ঘুমোবার আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন এবং এককাপ গাজরের রসের সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন। নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা টীংচার সেবন আর তেল মালিশে উপকার হবে। প্রয়োজনে নির্দেশিত হোমিও ও বায়োকেমিক ওষুধ সেবন।

 

চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে

কালোজিরার তেল চুলের কোষ ও ফলিকলকে চাঙ্গা করে ও শক্তিশালী করে যার ফলে নতুন চুল সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কালোজিরার তেল চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া কমায়।

চুল পড়া বন্ধ করতে

কালোজিরার খেয়ে যান, চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আরো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন।

অনিয়মিত মাসিক/স্রাব রোগের ক্ষেত্রে

এক কাপ কাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩ বার করে নিয়মিত সেবন করুন। যা শতভাগ কার্যকরী ।

দাঁত ব্যথা নিরাময়ে

দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে

ত্বকের গঠনের উন্নতি ও ত্বকের প্রভা বৃদ্ধির জন্য কালোজিরা অত্যাবশ্যকীয়। এতে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস ইত্যাদি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে ও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে

আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল, সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করা।

Share


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পদ্ম
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com