বিশেষ প্রতিনিধিঃ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবসহ আওয়ামলীগের অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কালুর ঘাট থেকে দেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। যখনই দেশ সংকটে পড়েছে তখনই মুজিব ও হাসিনা পালিয়ে গেছেন। আর দেশের সেই সংকট মহুর্তে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের হাল ধরেছেন। দেশে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। মুজিব-হাসিনা ক্ষমতায় যখনই এসেছেন তখনই তারা গুম,খুন,হত্যা, লুণ্টন, মামলা-হামলা দিয়ে দেশের বিরোধী নেতা কর্মীদের নির্মূল করা চেষ্টা করেছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিরেন বিএনপি। সেই সূত্র ধরেই গত ৫ আগস্টে হাসিনা পালিয়ে যান। আর ছাত্র-জনতার বিজয় হয়। এই খুনি হাসিনার নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী অন্দোলনসহ গত ১৫ বছরে হাজার হাজার ছাত্রজনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের খুন গুম করেছেন। গত ৩রা নভেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে বন্দী করা হয়েছিল তখন সিপাহী জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এনেছিলেন। ৩ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত দেশে কোনে প্রশাসন ছিল না। তখন দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সিপাহী জনতা শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ৬ নভেম্বরে ভোর রাত্রে মুক্ত করে কাঁধে তুলে নিয়ে তারা স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘সিপাহি জনতা ভাই-ভাই অফিসারদের ক্ষমা নাই’। তখন দেশে অস্থিতিশীল অবস্থায় সিপাহী-জনতা-ছাত্রকে সাথে নিয়ে শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন ।’
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর র্যালি শেষে ও আলোচনা সভায় এ কথা গুলি বলেন, পাবনা জেলা বিএনপি সদস্য সচিব ও বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার। শুক্রবার (৮নভেম্বর) উপজেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত সরকারি হাজী জামাল উদ্দীন ডিগ্রী কলেজ মাঠ চত্ত্বরে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে কলেজ চত্ত্বরে আসতে থাকে।