বিশেষ সংবাদদাতা:চলনবিল বিধৌত ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের প্রায় সারে ৪ হাজার বিঘা জমি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো মৌসুমের সরিষা চাষ। ইউএনও মোছাঃ নাজমুন নাহারের বুদ্ধিমত্তায় সারে ৪ হাজার বিঘা জমি সরিষা চাষের উপযোগী হয়েছে।
জানা যায় চলনবিল বেষ্টিত ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের প্রায় শতভাগ জমি মৌসুমী সরিষার আবাদ করেন এলাকার কৃষকরা।অতি বৃষ্টি হওয়ার কারনে এবং দেরিতে পানি নামায় জলবদ্ধতা হয়ে পরে কালিয়ানজিরি, পাইকপাড়া, হেলেঞ্চা, রমনাথপুর, মুন্ডুমালা গ্রামের কৃষকদের প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমি। আর এ জলাবদ্ধতার কারনে মৌসুমের সরিষা চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো।
উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন ইউএনও মোছাঃ নাজমুন নাহার জানতে পেরে তাৎক্ষণিক প্রকল্প নিয়ে জলাবদ্ধতা এবং পানি নিষ্কাশনের জন্য মুন্ডুমালা দুধবাড়িয়া গ্রাম্য রাস্তার মাটি সরিয়ে মাটির সড়কের নিচ দিয়ে ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ৮ টি পাইপ স্থাপন করার ব্যাবস্থা করেন। যার ফলোশ্রুতিতে কালিয়ানজিরি, পাইকপাড়া, হেলেঞ্চা, রমনাথপুর, মুন্ডুমালা গ্রামের কৃষকদের মাঠের দ্রুত পানি নিষ্কাশন হয়। এলাকাবাসী আশা করছে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সমস্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে যাবে এবং ঐ জমি সরিষা চাষে উপযোগী হয়ে উঠবে।
এরকম মহতী উদ্যেগের বিষয়টি সর্ম্পেকে ইউএনও মোছাঃ নাজমুন নাহার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন খানমরিচ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানতে পারি ঐএলাকার কৃষকদের কথা এবং সরিষা আবাদের বিষয়টা আমার কাছে গুরুত্ব পুর্ন মনে হয়েছে,তাই তাৎক্ষণিক প্রকল্প নিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা করি।