মোঃ রায়হান ইসলাম,
রাজশাহীর পুঠিয়ায় অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম। আর এ কারনে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে না পারায় একশ্রেণীর অসাধু পুকুর খনন কারীরা মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছেন তার বিরুদ্ধে।গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া গ্রামে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে অভিযান চালায় পুঠিয়া সার্কেল। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায় পুকুর খননকারীরা। পরে মাটি খননকারী গাড়ির ব্যটারি জব্দ করা হয়। আর এ কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে চক্রটি।
স্থানীয়সুত্রে জানাযায়, পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপাড়া এলাকায় হক ভাটার পার্শ্বে মোস্তাক নামে এক ব্যক্তি ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে আর ওই পুকুর খননের গাড়ি লুকিয়ে রাখছে ওই ভাটায়। এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রাতে ওই পুকুরে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ভেকু গাড়িটি লুকিয়ে রাখে ইটভাটায়। পরে পুলিশ গাড়িটির ব্যাটারি জব্দ করে নিয়ে আসে।সেখানকার স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, গোবিন্দ পাড়া বিলে যে জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে সেখানে ভালো ধান উৎপাদন হতো। পুকুর খনন করার জন্য গত বছর থেকে ওই জমি কৌশলে ফেলে রাখা হয়। এখন এই জমিতে যদি পুকুর খনন করা হয় তাহলে পাশের পান বরজ এবং সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। আর পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। পুলিশ কোন ভাটার ভেকু মেশিন ভাঙ্গেনি।এ বিষয়ে পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজিবুল ইসলাম জানান, কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা সেই দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে যায়। আর পুকুর খননকারী স্কেভেটর (ভেকু মেশিন) আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে হক ভাটায় নিয়ে গিয়ে রাখে। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে সেই ভেকু মেশিনের ব্যাটারী খুলে আনি। পুকুর খনন যাতে না হয় সেক্ষেত্রে আমরা সব সময় তৎপর রয়েছি।