প্রতিদিনের ডেক্স:দীর্ঘ ১৫ বছর পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যগণ ও পরিবার ‘রাষ্ট্র বিরোধী নয়’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে পরিকল্পিত পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ট তদন্ত, নিরপরাধ জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবীতে আলোচনা ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে পাবনায়।
আজ ২৭ নভেম্বর সকাল ১১ টায় পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে প্রেসক্লাবের সামনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ পাবনা শাখার উদ্যোগের আয়োজনে চাকরিচ্যুত নায়েক সুবেদার মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচীতে বক্তাগণ বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সেনা কমূকর্তা এবং ৭৪ জনকে হত্যাসহ ১৮ হাজার বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত, জেল, জরিমানা ও নির্যাতন করে খালি হাতে বাড়িতে পাঠিয়েছে। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা পরিবার পরিজন নিয়ে সীমাহীন দুঃখ দুর্দশায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। বক্তাগণ বলেন, বিডিআর সদস্যদের রাষ্ট্র বিরোধী ও সন্ত্রাসীর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাকরিচ্যুত করে পিলখানা হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনা সরকার।
তারা আরো বলেন বিডিআর সদস্যরা ওই দিন কোনো প্রকার গুলি চালায়নি উল্লেখ করে পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারসহ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবী জানান। বক্তাগণ আরও বলেন, ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পরিবর্তন এর পর অন্তরবর্তীকালীন সরকারের সময় পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার ও চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবী করার সময় এসেছে। আমরা এ দাবী পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এসময় সংগঠনের পাবনা সদর থানা সমন্বয়ক সিপাহী ফরহাদ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, থানা সমন্বয়ক সিপাহী হারুণ-অর-রশিদ, সিপাহী হযরত আলী, সিপাহী আনোয়ার হোসেন, সিপাহী মো. হাফিজ, সিপাহী ফিরোজ হোসেন খান, সিপাহী জাহিদ হোসেন, সিপাহী মেহেদী প্রমুখ। মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার অংশ নেন।