Breaking News :

ভাঙ্গুড়ায় মোবাইল পর্দায় উঠতি বয়সীরা, নিঃস্ব হচ্ছে পরিবার

প্রতিদিনের ডেক্স:পৃথিবী শাক্তিশালী হয়ে উঠেছে বাস্তব পৃথিবী থেকে ভার্চুয়াল। ভার্চুয়ালে চলে যাচ্ছে জীবনের মূল্যবান সময়গুলো। মানুষ একা হয়ে পড়ছে।

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা শহর থেকে গ্রাম। ঘরের বিছানা থেকে টয়লেট। অলিগলি, অফিস, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, মসজিদ এমনকি কবরস্থানেও অ্যান্ড্রয়েড ফোন হাতে ভার্চুয়ালে আসক্ত হয়ে পড়ছে মানুষ। ভার্চুয়াল আসক্তি মানুষ, প্রকৃতি ও সামাজিক সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করছে।

কোমলমতি শিশু থেকে উঠতি বয়সীরা ইন্টারনেটে অনলাইন জুয়া, গেমস, টিকটক এসবে ভয়াবহ আসক্ত হয়ে উঠছে। দিনের পর দিন তাদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো ফোনের পর্দায় কেটে যাচ্ছে। ইন্টারনেট খরচ ও জুয়ার টাকা যোগার করতে নিরবে নিঃস্ব হচ্ছে অনেক পরিবার।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা কুমরাডাঙ্গা মহল্লার  তিন বছরের শিশু লামিয়া। প্রতিদিন তাকে ভাত খাওয়ানোর সময় নিয়ম করে কার্টুনের ভিডিও দেখাতে হবে নয়তো সে খাবেই না।এবং দিনের অন্য সময়ে স্মার্টফোন গেমস, টিকটক ভার্চুয়ালেই সময় কাটে তার। শিশুর মা লক্ষ্য করেন দিন দিন তার শিশুটির মধ্য স্মার্টফোনে ভার্চুয়াল আসক্তি বাড়ছে।

অনেকেই বলেন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক বা অন্যান্য  মাধ্যেম গোলো এখন অসামাজিক হয়ে গেছে। জীবন জিবিকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অস্থির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অপপ্রচারের শিকার হয়ে মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে মানুষগুলোর।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ডাঃ রাম দুলাল ভৌমিক মনে করেন, মানুষ ফোন হাতে ভার্চুয়ালে সময় কাটাচ্ছে। কাছাকাছি থেকেও দিন দিন যেন আমরা পরষ্পর দূরে চলে যাচ্ছি, এটা খুব উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং ভার্চুয়াল সোশাল আইন কাঠামো দরকার।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা  শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শিশু থেকে উঠতি বয়সীরা ইন্টারনেটে গেমস টিকটক এসবে ভয়াবহ আসক্ত নিয়ে মেতে উঠেছে। টাকা খরচ করে ইন্টারনেটে গেমস খেলছে তারা। অনেকে েআবার ভার্চুয়াল জুয়াতে আসক্ত হয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। ফোনের মাধ্যমেই জুয়া খেলা ও লেনদেন হওয়াতে সমাজে নিরব ঘাতক হয়ে উঠেছে ভার্চুয়াল জুয়া। এটা সমাজে ভয়াবহ এক ব্যাধি হিসেবে দেখা দিয়েছে। আসক্তি ঠেকাতে সমাজের মানুষদের সামাজিক ভাবে সচেতন করতে হবে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা  সদরের  একজন সাধারন মানুষ বলেন ।বেশ কয়েক বছর ধরে এলাকার অনেক যুবক ইন্টারনেটে জুয়াতে আসক্ত হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কাজ করা শ্রমিকরা দিনশেষে যা মজুরি পায় ফোনে জুয়া খেলেই তা শেষ করে দেয়। এই ঘাতক জুয়া মানুষ ও অনেক পরিবারকে নিরবে সর্বশান্ত করছে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা  মধ্যে বয়সি রব্বান আলী বলেন, অনলাইনে ক্যাসিনো সাইটের সন্ধান পেয়ে তিনি ইন্টারনেটে জুয়া খেলতে শুরু করেন। খেলে সর্বশান্ত হয়ে তিনি এখন অনুতপ্ত।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com