Breaking News :

ভাঙ্গুড়ায় ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসবে মেতেছেন সৌখিন মৎস্য শিকারিরা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

পাবনায় ভাঙ্গুড়ায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসবে মাছ শিকারে মেতেছেন সৌখিন মৎস্য শিকারিরা। পলো, জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দল বেঁধে বিলে দূর-দুরান্ত থেকে আসেন বিভিন্ন বয়সী হাজারো মানুষ। কিন্তু এবছর কাঙ্খিত মাছের দেখা না পেয়ে হতাশ মৎস্য শিকারিরা। তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালীরা চায়না জাল আর গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ ধরে নেয়ায় কমছে মাছের উৎপাদন।

সরেজমিনে শনিবার(৩১ ডিসেম্বর) ভাঙ্গুড়া উপজেলার রুহুল বিলে বাউত উৎসবে গিয়ে দেখা যায়, পাবনা-বাঘাবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের কোল ঘেঁষে পাটুলিপাড়া দাখিল মাদরাসা। সেই মাদরাসা সংলগ্ন পাকা রাস্তা ধরে দক্ষিণ দিকে কিছুদূর এগুলেই বামে কাঁচা রাস্তা নেমে গেছে রহুল বিলে। দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে আসতে শুরু করে মানুষ।  বিলের মুখে ঢুকতেই খাবারের দোকান সাজিয়ে বসেছেন কয়েকজন।

হেমন্তে সকালে মেঘ ও কুয়াশা ভেদ করে ঝলমলে সূর্যের মুখ দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিলপাড়ে হাজির নানা বয়সী হাজারো মানুষ। সবার হাতে পলো, বিভিন্ন রকম জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ। বিলের ময়লা আবর্জনায় ভরা পানি থেকে ত্বক রক্ষায় অনেকে শরীরে সরিষার তেল মালিশ করে নিচ্ছেন। কেউ আবার সকালের মিষ্টি রোদে একটু আরাম করে শরীর গরম করে নিচ্ছেন।

এক পর্যায়ে হঠাৎ হই হই করে বিলের পানিতে নেমে পড়েন বাউতেরা। মৎস্য শিকারীদের আঞ্চলিক ভাষায় বাউত বলা হয়। তারপর একসঙ্গে বিলে নেমে লোকজ রীতিতে মনের আনন্দে চলে মাছ শিকার। দল বেঁধে মাছ শিকারের এই আয়োজনের নামই মূলত বাউত উৎসব- এমনটাই জানালেন মাছ শিকারে আসা ফরিদপুর উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের প্রবীণ মাছ শিকারি আব্দুল সালাম।

মাছ না পেয়ে অনেকে বিল থেকে উঠে আসেন। তখন কথা হয় কয়েকজনের সঙ্গে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থেকে অসা মৎস্য শিকারি আব্দুল মোমিন জানান, অনেকবছর ধরেই এখানে বাউত উৎসবে আসি। কম বেশি ভাল মাছ পাই। কিন্তু এবারের অবস্থা খুব খারাপ। মাছ নাই বললেই চলে।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com