নারীদের জরায়ু মুখে ক্যানসার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) বিরুদ্ধে এক ডোজ টিকাই যথেষ্ট। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা ব্যতীত দেশের ৭টি বিভাগে শুরু হতে যাচ্ছে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মোট ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ কিশোরীকে বিনা মূল্যে এ টিকার আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার
২৩ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১.৩০ এ উপলক্ষে ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার সভাপতিত্বে অবহিতকরন সভার আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)
আলোচনার শুরুতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম এইচপিভি কী, কীভাবে এটি সংক্রমিত হয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার সৃষ্টি করে, এটি প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে ধারনা দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার, অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকা নিবন্ধন করার উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করেন। টিকা নিবন্ধনে প্রয়োজনীয় জন্ম সনদ না থাকলে তা খুব অল্প সময়েই তৈরি করা যাবে বলে আশ্বাস দেন।
সভায় জানানো হয় ভাঙ্গুড়ায় মোট ৬৯২২ জন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনা মূল্যে এ কর্মসূচির প্রথম দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি এবং বাকি দিনগুলোতে গ্রুপভিত্তিকভাবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনা মূল্যে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য রয়েছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী, , উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুমানা আক্তার রোমি, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. মাহমুদা সুলতানা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল হিরোক উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আমিনুল ইসলাম মিয়াজীসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।