প্রতিদিনের ডেক্স: ভাঙ্গুড়ায় রাজনৈতিক জের ধরে বিএন পি নেতা মো: সাইদুল ইসলাম বুরুজ(৪৮)কে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রায় দেড় বছর পর থানায় মামলা দায়েরের সুযোগ পেল তিনি।
মঙ্গলবার ঐ নেতা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কমিশনার মো: ইমরান হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৮/১০ জনের নামে এই মামলা দায়ের করেন।১৭ সেপ্টম্বর ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা নং ৩ জি আর ৬৮/২০২৪ ধারা-৩২৩/৩৪১/৩২৫/৩২৬ ,মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৭ই মে আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকার সময়,, বাদী কলেজপাড়া চৌরাস্তা ব্রিজ সংলগ্ন খাইরুল ইসলামের দোকান ঘরের সামনে পৌঁছালে প্রথমে হাসুয়া এবং পরে ছুরি দিয়ে কিডনি বরারর আঘাত করে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বর্তমান কমিশনার ইমরান হোসেন।
বাদীর সাথে কথা বলে জানা কলেজপাড়া চৌরাস্তা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছা মাত্রই পরিকল্পিতভাবে হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটের মাঝ বরাবর কোপ দিলে তাৎক্ষণিক সাইদুল ইসলাম বুরুজ বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করে। এবং সাইদুল ইসলাম বুরুজের হাতের উপর কোপ লেগে গুরুতর জখম হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। সেই মুহূর্তে প্রথমবার কোপ লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ইমরান হোসেন হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে কিডনি বরাবর আঘাত হানলে গুরুতর যখন হয় এবং রক্তাত্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরলে হকিস্টিক দিয়ে আএলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করে।
সাইদুল ইসলাম বুরুজ আরো বলেন বতর্মান ভাঙ্গুড়া পেৌর সভার ১ ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ ইমরান হোসেন ,পিতা ওয়াজেদ সওদাগর তার দলে থাকা , হাবিব, পিতা আব্দুর রহিম বক্স, লিখন, আরিফ ,পিতা মৃত আশরাফ, খাইরুল ইসলাম ,পিতা ফজলুর রহমান আহাদ, পিতা সালাম, রায়হান, পিতা হাবিবুর রহমান হাবিব , মোহন ,পিতা মৃত গফুর, রায়ফুল, পিতা মন্টু, রেজাউল ,পিতা আরশেদ এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জন সভার বাড়ি ভাঙ্গুরা উপজেলা কলেজ পাড়া গ্রামে হাতে থাকা জিআই পাইপ লোহার রড বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে।বাদীর কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা এবং স্যামসাং একটি মোবাইল ফোন তারা ছিনিয়ে নেয়।
তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের মদদ পুস্ট হওয়ায় সাইদুল ইসলামকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে আসামীরা ।তাৎক্ষণিকভাবে এলাকার লোকজন হাসমত আলী হাফিজুর রহমান রাসেল রায়হান আলী সাইদুল ইসলাম বুরজকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গুড়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।
পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করতে থাকে।
বাদী বিরধী দলের নেতা হওয়ায় বিচার পায়নি। অবশেষে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাযচ্যুত হওয়ার পর সাইদুল ইসলাম বুরুজ থানায় এ মামলা দায়ের করেছে।