পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার(০৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গুড়া প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ১৭ বিঘার পুকুর মালিকানা ও পুকুরের মাছ বিক্রি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ সমূহে বলা হয়েছে, আমরা নাকি বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ ধরে বিক্রি করে দিয়েছি। ওই সকল সংবাদের প্রতিবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন সভাপতি শাহিদুল ইসলাম ও তার ভাই আব্দুর রশিদ সাংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশিত ওই সকল সংবাদ মিথ্যে ও বানোয়াট বলে দাবী করেছেন।
সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শহিদুল ইসলাম বলেন,‘ আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, গত প্রায় একযুগ ধরে পুকুরটির মালিকানা আমাদের। অভিযোগকারী ইয়াহিয়া ও অন্য মালিকদের অংশ আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। মালিকানার দলিলপত্র সবই আমাদের আছে। ইয়াহিয়া যে অভিযোগ করেছেন তার কোন প্রকার ভিত্তি নেই। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের ক্রয় ও পৈত্রিক সূত্রে মালিকানাধীন পুকুর দীর্ঘদিন ধরেই আমরা ভোগদখল করছি। এখানে অভিযোগকারী ইয়াহিয়ার কোন জমি নেই। আমাদের পূর্ব পুরুষ স্থানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে জমি-জমা কিনেছে। সকল দলিলপত্র আছে। ইয়াহিয়া কখনো কোনোদিন এই পুকুরে আসেন নি। কারন এখানে তার মালিকানা নাই। ইয়াহিয়া ৩ দফা মাছ ছাড়া বা পুকুর সাজানোর যে দাবি করেছেন তাও সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট। তার কাছ থেকে কোন প্রকার লিজও নেওয়া হয় নাই। আমাদের পুকুর আমরাই আবাদ করেছি এবং আমরাই মাছ বিক্রি করেছি। অথচ বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে ইয়াহিয়া মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। আমরা বিভিন্ন সংবাদ পত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামজিক যোগযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবী করেন, ‘ আমি মোঃ শহিদুল ইসলাম সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও আমার ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রশিদ একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আমরা সততার সহিত ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনৈতিক জীবন পরিচালনা করায় একটি মহল আমাদের পরিবারের সুনাম, আমার রাজনৈতিক জীবনের জনপ্রিয়তা ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্য করার জন্য মিথ্যে, ভীত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। যা আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এ সর্ম্পকিত প্রকাশিত সকল সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।,
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রশিদ, ইউনিয়ন বিএনপি-র সাধারণ সম্পাদক ও গ্রাম্য প্রধান আতাউর রহমান।