রিপোর্টারঃ-নুর ইসলাম নোবেল,রংপুর বিভাগীয় প্রধান-কবির ভাষায়-ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত।কিন্তু আজ ফুল ফুটেছে আর জানান দিয়েছে বসন্ত ঋতু আমাদের মাঝে হাজির।প্রকৃতি আজ দক্ষিণা দুয়ার খুলে দিয়েছে আর সে দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। বসন্তের আগমনে কোকিল গাইছে গান।ভ্রমরও করছে খেলা।গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা।আজ পহেলা ফাল্গুন।ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন।ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এত বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা।সব কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে বিভেদ ভুলে নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি।ফাগুনের মাতাল হাওয়া দোলা দিয়েছে বাংলার নিস্বর্গ প্রকৃতিতে।নতুন রূপে প্রকৃতিকে সাজাবে ঋতুরাজ বসন্ত।ফুলেল বসন্ত,মধুময় বসন্ত,যৌবনের উদ্দামতা বয়ে আনার বসন্ত আর আনন্দ,উচ্ছ্বাস ও উদ্বেলতায় মনপ্রাণ কেড়ে নেয়ার আজ প্রথম দিন। ফাগুনের আগুন যে মনে ধরছে তা প্রকৃতির চিত্রপটেই বোঝা যাচ্ছে।
মৃদু মৃদু বাতাস শীতের রুক্ষতা দূর করে মনকে উদাস করে দিচ্ছে।বছর ঘুরে আবারও ফাল্গুনের দেখা।ষড় ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্ব একেবারে প্রকৃত সিদ্ধ।ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রংতুলির আঁচড়ে শেষ হয় না।কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না।তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না। ফাগুনের আগুনে,মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবশীতের খোলসে ঢুকে থাকা কৃষ্ণচূড়া,রাধাচূড়া,নাগলিঙ্গম এখন অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে।মৃদুমন্দা বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে বসন্ত জানিয়ে দিচ্ছে,সত্যি সত্যি সে ঋতুর রাজা।লাল আর হলুদের বাসন্তী রঙে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের সাজিয়ে আজ বসন্তের উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় ভাসবে বাঙালি।তরুণীরা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে প্রকৃতির কোলে নিজেকে সপে দিতে চাইবে।অপরদিকে বসন্তের উদাস হাওয়ায় তরুণেরা নিজেকে প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতির মন কাড়তে চাইবে।বসন্ত যেন মানব মন আর প্রকৃতির রূপ প্রকাশের লীলা-খেলা।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ ১৪ ফেব্রু: বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মাঠে তেল পিঠা,চিতাই পিঠা,কুলি পিঠাসহ নানান পদের পিঠা প্রদর্শন এবং বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এছাড়া উৎসব স্থলে এ উপলক্ষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন।এসময় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবিয়া বেগম,সহকারী কমিশনার(ভূমি)নয়ন কুমার সাহা, ওসি মাসুমুর রহমান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল মতিন অভিসহ
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক,ছাত্র-শিক্ষক উৎসব উপভোগ করেন।