রিপোর্টারঃ জাহিদুল ইসলাম,বিভাগীয় প্রধান খুলনা-গত প্রাই চার দশকের ও বেশি সময় ধরে চাষ যোগ্য কৃষি জমিতে লবন পানি উঠিয়ে চিংড়ি চাষ শুরু হয় উপকূলীয় জেলা খুলনার পাইকগাছা, কয়রা,অঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা জমিতে।মুলত ৯০ দশকের শুরুতে ব্যাপকভাবে কৃষি জমিতে লবন পানি প্রবেশ করিয়ে চিংড়ি চাষ শুরু হয়।তখন চিংড়ি বলা হতো লবন পানির সোনা।বহিরাগত প্রভাবশালী লীজ ঘের মালিক স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় এই প্রক্রিয়া শুরু করে।কিছু কিছু অঞ্চলের মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং জেল জুলুমের শিকার হয়।পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এই লবন পানিতে চিংড়ি চাষ পদ্ধতি। ফলে দিনকে দিন কৃষি জমির পরিমান কমতে থাকে।একটা সময় সাধারণ মানুষ ও এই চিংড়ি চাষের প্রতি ঝুকে পড়ে।শুরুর দিকে চিংড়ি চাষ হলেও ভাদ্র মাস থেকে কৃষকরা আমন ধান চাষ করতে পারতো।কিন্তু একটা পর্যায়ে প্রভাব বিস্তার করে কৌশলে সারা বছরের জন্য বন্যার পানিতে চিংড়ি চাষের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে জমি লীজ নিতে শুরু করে এবং স্থানীয় উৎপাদন প্রাই এক চতুর্থাংশে পরিনত হয়।নিজস্ব জমি থাকা সত্ত্বেও কৃষক তার নিজের খাবার জোগাড় করতে ব্যর্থ হয় এবং অন্যত্র মজুরি হিসেবে নিজেদেরকে নিয়োজিত করে।লবন পানিতে লীজ ঘের করার কারণে হাজার হাজার সুইস গেট ও পাইপ বসিয়ে নদী থেকে সরাসরি লোনা পানি ঢোকানো হয়।যার ফলে প্রত্যেক বছর জোয়ারের পানিতে রাস্তা ভেঙে গিয়ে প্লাবিত হয় হাজার হাজার গ্রাম,ভেসে যায় সাধারণ মানুষের ঘর,বাড়ি,পশু পাখি সহ প্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র।এটাই এখন উক্ত অঞ্চলের বাস্তব চিত্র। চাষ যোগ্য জমি থাকা সত্ত্বেও কৃষক এবং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ জিবন যাপনে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করছে।
মহান জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে স্থানীয় সংসদ সদস্য পাইকগাছা-কয়রা-১০৪,খুলনা -৬ এই অঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবি লবন পানির মুক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বক্তব্য উত্থাপন করে সর্বজন প্রসংশিত হয়েছেন খুলনা ৬এমপি রশীদুজ্জামান মোড়ল।এবং সাধারণ জনগণ স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন যে, নিকট ভবিষ্যতে মিষ্টি পানিতেই পরিবেশ বান্ধব উপায়ে আগের মত ধান,মাছ, শাক,সবজি উৎপাদন করবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কার্যকরী ভুমিকা পালন করবে।