রিপোর্ট-ক্রাইম রিপোর্টার যশোর-যশোরের রেলষ্টেশন এলাকায় আবারও সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে জুম্মান(২৬)নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। তিনি শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকার মুরাদ হোসেনের ছেলে।শনিবার সন্ধ্যার দিকে রেলষ্টেশনের দক্ষিণ পাশ থেকে তাড়িয়ে নিয়ে প্লাটফর্মে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে ফের তাড়িয়ে নিয়ে ষ্টেশনের পূর্ব পাশে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়।পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান।
নিহতের ভাই মামুন বলেছেন,তারা চার ভাই ২ বোন। এদের মধ্যে জুম্মান দ্বিতীয়।তিনি বারান্দীপাড়ায় থাকেন আর জুম্মান থাকেন শংকরপুরে।তিনি ছুরি মারার সংবাদ শুনে হাসপাতালে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পান।কারা তাকে হত্যা করেছে এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।নিহত জুম্মান ভাংড়ি মালামালের ব্যবসা করেন বলে তিনি জানিয়েছেন। মামুন জানিয়েছেন,সন্ধ্যার দিকে কে বা কারা তাকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়।এরপর সে খুন হয়। জুম্মানের মোবাইল ফোনটি শংকরপুর এলাকার রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিবের কাছে আছে।
যশোর রেলেষ্টেশনের প্লাটফর্মে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে,ষ্টেশনের দক্ষিণ পাশ থেকে জুম্মানকে তাড়া করছে ৬ সন্ত্রাসী।জুম্মান দৌড়ে প্লাট ফর্মে উঠার মুহুর্তে একজন তাকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে।এরপর দৌড়ে জুম্মান প্লাট ফর্মের পশ্চিম দিতে চলে যায়।দুর্বৃত্তরা ফের পিছু ধাওয়া করে।জুম্মানকে রেলষ্টেশনের দক্ষিণ
দিকে নিয়ে গিয়ে ফের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জুম্মান একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী।তার বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় ১৪টি মামলা আছে।কিছুদিন আগেও জুম্মান মাদকসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল।
এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে,জুম্মান গাঁজা বিক্রেতা।কিছুদিন আগে ওই এলাকার প্রিন্স নামে একজন জুম্মানের কাছ থেকে ২ কেজি গাঁজা বাকিতে কেনে।এই নিয়ে প্রিন্সের সাথে জুম্মানের শত্রুতা সৃষ্টি হয়।প্রিন্স ওই এলাকার রিপনের ছেলে। এই নিয়ে শনিবার সন্ধ্যার দিকে বিরোধ তৈরী হয় রেলগেট এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ অফিসের সামনে।সেখান থেকে ৬জন তাড়া করলে জুম্মান ষ্টেশনের প্লাটফর্ম ক্রস করে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।প্লাটফর্মে উঠার সময় তাকে ছুরিকাঘাতে করে রনি নামে এক দুর্বৃত্ত্ব। রনি শংকরপুর এলাকার বাবুর ছেলে।যশোরের ডিবি পুলিশ ওই সিসি ক্যামেরায় ধারন করা ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।তাতে প্রিন্স ও রনিকে চেনা গেছে বলে সূত্রটি দাবি করেছে।এছাড়া রায়পাড়ার ঢ্যাপ পকেটমারের ছেলে সাগর ও একই এলাকার চয়ন নামে আরো একজনকে চেনা গেছে।পুলিশ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চারজনকে সনাক্ত করতে পেরেছে।
ঘটনার পর কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতালে গিয়ে ঘটনা জানার চেষ্টা করে।তিনি বলেছেন,কে বা কারা জুম্মান নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করেছে।এতে তিনি মারা গেছেন।পুলিশ আসামিদের আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।