খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার
খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার

বাসস:
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা কাতার সরকারের উদ্যোগে জার্মানি থেকে আসছে।
কাতার দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ আজ সন্ধ্যায় বাসসকে জানান, কাতার সরকার একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে, যা জার্মানি থেকে ঢাকায় আসবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের সুপারিশ অনুযায়ী বিমানটি আসার কথা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়ার কথা থাকলেও ‘কারিগরি ত্রুটি’ দেখা দেওয়ায় কাতার বিকল্প বিমান ভাড়া করেছে।
কাতার সরকার যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেছে সেটি হলো বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার ৬০৪ (সিএল৬০)। জার্মানির শীর্ষস্থানীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও মিশন-ক্রিটিক্যাল এভিয়েশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এফএআই এভিয়েশন গ্রুপ এটি পরিচালনা করে।
প্রতিষ্ঠানটি বোম্বার্ডিয়ার বিজনেস জেটের বহর পরিচালনা করে, যা রোগীদের জন্য চিকিৎসা পরিবহন ও ভিআইপি পরিবহন উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবসা পরিচালনা করে।
চ্যালেঞ্জার ৬০৪ দীর্ঘপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় সক্ষমতার জন্য পরিচিত। এটি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা ফ্লাইটের জন্য উপযোগী।
এর আগে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি সমস্যার কারণে কাতারের মূল বিমানটি ঢাকায় পৌঁছাতে না পারায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পূর্বপরিকল্পিত স্থানান্তর বিলম্বিত হচ্ছে। সমস্যার সমাধান হলে শনিবার বিমানটি পৌঁছাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যদি ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ভ্রমণের উপযুক্ত হন এবং মেডিকেল বোর্ড অনুমোদন দেয়, তবে ইনশাআল্লাহ তিনি ৭ ডিসেম্বর (রবিবার) দেশ ছাড়বেন।
এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ও খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান শুক্রবার সকালে বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
এ সংক্রান্ত কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাতার দূতাবাসে সহযোগিতা চেয়ে একটি নোট ভারবাল পাঠায়।
কাতার ইতিবাচক সাড়া দিয়ে জানায়, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের অনুমতি পেলেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হবে।
বিএনপি আলাদাভাবে একটি চিঠি পাঠিয়ে অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ইংল্যান্ডে স্থানান্তরের জন্য লজিস্টিক সহায়তা চেয়েছে।