Breaking News :

ভাঙ্গুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গাপূজা

 

মোঃ আব্দুল আজিজ
ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শারদীয় দুর্গাপূজা। সারা দেশের ন্যায় উপজেলার বড়ালনদীতে বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পরিসমাপ্তি হল শারদীয় দুর্গাপূজা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকেই শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। আর উলুধ্বনি, খোল করতাল, ঢাক ঢোলের সনাতনী গান বাজনার সঙ্গে দেবী বন্ধনার গানের মধ্য দিয়ে বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেয় ভক্তরা। প্রতিমা ঘাটে নেওয়ার পর ভক্তরা শেষ বারের মত ধূপ ধুনো নিয়ে আরতি করেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিসর্জন দেয়া হয়। বিজয়া দশমীতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মাঝে অন্যরকম আবেগ ও মন খারাপ লাগার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। দশমী মানেই দূর্গা মায়ের ফিরে যাওয়া অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও একটি বছর। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ২১টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা পালন করা হয়। পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের শেষ দিন আজ। অন্তিম দিন বলা হয় মহা নবমীর দিনকে, দেবী দুর্গাকে প্রাণ ভরে দেখে নেয়ার সময়। বিজয়া দশমীতে পুলিশ, আনসার,সেনাবাহিনী, সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত ছিল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বি এন পির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,
ভাঙ্গুড়া বাজারের পেপার বিক্রেতা দুলাল কুমার দাস বলেন, আজ বিজয়া দশমী, মা চলে যাবে এটা ভাবতে পারছি না। বিসর্জন দিতে খুবই কষ্ট লাগছে। নদী
চন্দনা, লিপি পাল, স্বান্তনা দাস, পলি সরকার,, টুম্পা রায় জানান, বিজয়া দশমী মানে বুকের ভিতর কষ্ট লাগে, মাকে বিদায় জানানো অনেক কষ্টের। আবার একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য।
দশমী মানেই দুর্গাপূজার অবসান। বিষাদের সুর বাজে সকল ভক্ত বৃন্দ ও পুজারীবৃন্দের মাঝে। সকলেই মেতে উঠেছে সিঁদুর খেলায়, চলে একে অপরের সাথে ভক্তি, কোলাকুলি, মিষ্টি মুখ,পান সুপারি।আসছে বছর আবারো হবে দুর্গা পূজা,এই আশা নিয়েই দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হয়।

পুজার পাঁচদিন ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন জনাব শ্রী তাপস কুমার পাল ও ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ শফিকুল ইসলামসহ তাদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী কঠোর নিরাপত্তা পালন করে সহযোগিতা করেছেন বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি,সম্পাদক গণ।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com