পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ৫ দোকান-বাড়িতে ডাকাতি: ৪০ ভরি সোনা,২০ লক্ষ টাকা লুট
ভাঙ্গুড়ায় ফিরছে প্রাণের ছোয়া

বিশেষ প্রতিবেদক: সময়ের প্রয়োজনে শিশু বিনোদনে ভাঙ্গুড়ায় ফিরছে প্রাণের ছোয়া। উপজেলা পরিষদ মাঠের পশ্চিম পাশে সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনার টি দৃষ্টি নন্দন করে মেরামত করা হয়েছে।
বাচ্চাদের খেলার জন্য শিশুপার্কটিতে বিভিন্ন খেলার রাইড স্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা সেবাব্রতী কিন্ডারগার্টেন এর শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বলেন,” ইউএনও আন্টি দোলনা খেলার ব্যবস্থা করে দিছেন! আমাদের এখানে খেলতে খুব ভালো লাগে।” দৃষ্টিনন্দন খেলনা এবং বিভিন্ন প্রাণীর আকর্ষণীয় ভাস্কর্য দিয়ে ঘেরা এই পার্কটি বিকেলে শিশুদের কোলাহলে মুখর হয়ে ওঠে।
তাছাড়া, উন্নয়ন ও সংস্কারের ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে অবস্থিত গাছগুলোকে গোল করে বাধাই করে বসার উপযোগী করা হয়েছে যাতে বিকেলে মাঠে খেলতে আসা মানুষ ক্লান্ত হয়ে বসে বিশ্রাম নিতে পারে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই উপজেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে যত্রতত্র প্রবেশ করা যেত। যার ফলে সৌন্দর্যহানি হওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতো। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে, উপজেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণকে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনাটি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম। তিনি বলেন, ‘সীমানা প্রাচীর নির্মাণের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে’। আর শুরু থেকেই কোন প্রবেশ ফটক না থাকলেও একটি দৃষ্টিনন্দন প্রবেশ ফটকের কাজ চলমান রয়েছে।
কেউ কেউ প্রকল্পগুলোকে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় বললেও তা নাকচ করে দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের সাবেক অধ্যাপক ও ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব উল আলম বাবলু বলেন , “এটি মোটেও অপচয় নয়। সৌন্দর্য ও প্রশাসনিক সেবা পরস্পরসম্পর্কিত। ব্যাপারটি মনস্তাত্ত্বিক। পরিচ্ছন্ন ও পরিকল্পিত পরিবেশ কার্যকর সেবা নিশ্চিত করে।”
দৃশ্যমান এই উন্নয়ন কার্যক্রমের অর্থায়ন সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার বলেন, “প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে এই উপজেলার সকল মানুষের ভালো-মন্দ দেখ-ভালের দায়িত্ব আমার। এই কার্যক্রম গুলো সমগ্র উপজেলাবাসীর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। অর্থায়নসহ সকল কর্মকান্ড স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনার বাধ্যবাধকতা আমার আছে। এগুলোর অর্থায়নও তার ব্যতিক্রম নয়। এগুলো যথাযথ নিয়ম মেনে হয়েছে।”
ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণের এই দৃশ্যমান পরিবর্তন শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, বরং একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে মানুষের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য ও মনোগ্রাহী করে তুলছে।