বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে প্যালাসাইডিং, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে উপজেলা প্রকৌশল অফিস নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ানের উত্তর বেতুয়ান এলাকায় নির্মাণ কারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সেলিম হোসেনকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন । উপজেলা প্রকৌশল ত্রুটি সংশোধনের চিঠি প্রদানের পর উপজেলা প্রশাসন বলছেন, সিডিউল মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করলে বিল ছাড় করণের কোন সুযোগ নেই।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, দিলপাশার ইউনিয়নের উত্তর বেতুয়ান এলাকায় প্যালাসাইডিং ৬৭ মিটার,(১ মিটার উচ্চতা) , বালিভরাট (১০ ইঞ্চি,) সাববেজ(বালি ও খোয়া৭ ইঞ্চি), বিএমডাব্লুিউ( ৬ ইঞ্চি), কার্পেটিং ৪০ মিটার কাজ ৪৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় নির্মাণ করার জন্য কাজ পান পাবনার মেসার্স সেলিম হোসেন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রথমে প্যালাসাইডিং কাজ করতে গেলেই নিম্নমানের ইট ব্যবহার করতে থাকে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে স্থানীয় জনতা প্রথমেই কাজ বন্ধ করে দিয়ে সিডিউল মোতাবেক দাবী করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা উপজেলা প্রকৌশল অফিস ও উপজেলা প্রশাসনকেও অবগত করেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার মিত্র পরিদর্শন করে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫-৫-২০২৫ তারিখে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রবিউল করিম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ত্রুটি সংশোধন পূর্বক কাজ তদারকি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে কাজ করা যাবে না মর্মে নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. রবিউল করিমের এই নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে লোক চক্ষুর আড়ালে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ৬৭ মিটার প্যালাসাইডিং নির্মাণ কাজ শেষ করেন।

সোমবার সরেজমিন, বেতুয়ান উত্তরপাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে প্যালাসাইডিং নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তার উপরে নিম্নমানের অবশিষ্ট কিছু ইট রাখা আছে। ওই ইটগুলো মানসম্মত নয় বলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়।
এ ব্যাপারে, উপজেলা প্রকৌশল অফিসের উপসহকারী সবুজ কুমার মিত্র জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে প্যারাসাইডিং নির্মাণ করার প্রমাণ পাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে মেসার্স সেলিম হোসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইফুল ইসলাম, প্রথমেই এক গাড়ি ইটের মধ্যে কিছু নিম্নমানের ইট থাকার কারণে কাজ করতে স্থানীয় জনতার বাধার সমুখীন হয়েছিলেন মর্মে স্বীকার করেন। তবে প্যালাসাইডিং নির্মাণ কাজ শেষ বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে, মো. রবিউল করিম বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে প্যারাসাইডিং নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়ায় তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার সত্যতা পেয়েছেন। নির্মিত প্যালাসাইডিং ভেঙ্গে মানসম্মত উপকরণ দিয়ে প্রকৌশল অফিসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ না করে বিল ছাড়করণের কোনো সুযোগ নেই।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ বদরুল আলম -০১৭১২৯৫৭০৬৬,
নির্বাহী সম্পাদকঃ সফিক ইসলাম,-০১৭১৬৪৯২৪১৫,
বার্তা সম্পাদকঃ আব্দুর রহিম-০১৭১৫৮৪৪১৬২
Copyright © 2024 Protidinerjonopod