Breaking News :

১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন আইনে লন্ডনে বসবাস করছেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্কঃ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর আদালত মিথ্যা মামলায় প্রদত্ত বেশিরভাগ সাজা বাতিল করেছে। তারেক রহমান তার জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশে ফিরতে পারেননি। এখানে আরো উল্লেখযোগ্য যে ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনের অধীনে পর্যটক, কর্মক্ষেত্র, ছাত্র, বিনিয়োগকারী এবং পরিবার বা শরণার্থী ভিসাসহ ভিসা বিভাগের অধীনে একজন বিদেশী নাগরিকের জন্য যুক্তরাজ্যে স্বল্প সময়ের (ছয় মাস), বর্ধিত সময়ের জন্য বা অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাস করা আইনত বৈধ।

বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের বক্তব্যের জবাবে তিনি একথা বলেন।

গতকাল বুধবার ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘কেবলমাত্র আমি আমেরিকায় থেকেছি বলে আমাকে যদি বলা হয় আপনি বিদেশী নাগরিক, তাহলে কালকে তারেক রহমান সাহেবকেও সে কথা বলতে হবে। আমাকে ঢিল নিক্ষেপ করলে, সেই ঢিল কিন্তু অন্যের ওপর গিয়েও পড়তে পারে।’

এই প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্মম হত্যা প্রচেষ্টা থেকে পঙ্গু অবস্থায় ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে যান। তখন থেকে তিনি তার পরিবারের সাথে সেখানে বসবাস করছেন। বাংলাদেশ ত্যাগের পর, তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে বহু মিথ্যা সাজানো মামলায় জড়ানো হয়েছিল, যার মধ্যে তথাকথিত মানি লন্ডারিং মামলা (২০১১), জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা (২০১৭), ঘোষিত/অঘোষিত সম্পদ মামলা (২০২২) এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা (২০০৪) ছিল অন্যতম। দেশের জনপ্রিয় এই নেতার অনুপস্থিতিতে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী ক্যাঙ্গারু আদালত তাকে সাজা দেয়।’

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com