Breaking News :

পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন, তারেক রহমান

প্রতিবেদক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আবারও আহ্বান জানিয়ে বলব, পরিস্থিতির অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা না করা গেলে পতিত স্বৈরাচারকে মোকাবেলা করা সহজ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘লোভ-লাভের  প্রলোভন থেকে মুক্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করবে—এই আশা করছি।’

গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানে লেক শোর হোটেলে এনডিএমের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপিসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোই অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তাদের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আসছে। সব কিছু বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই, সরকার কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। সরকার বরং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে সুকৌশলে অল্প সংস্কার-বেশি সংস্কার—এ রকম অভিনব শর্তের বেড়াজালে বলা যায় আটকে দিয়েছে। সরকারের কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে।

আমরা প্রতিদিন দেখছি কোনো না কোনো দাবি নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামছে।’তিনি আরো বলেন,  ‘মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে এবং বাইরে এক ধরনের অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। সরকার জনগণের ভাষা, আশা-আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। আমরা মনে করি অস্থিরতা এভাবে বাড়তে থাকলে এই সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খানসহ বিদেশি অতিথি ও দলটির নেতাকর্মীরা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, এনবিআর সংস্কার নিয়ে তেমন কোনো দ্বিমত নেই। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা না করে তড়িঘড়ি করে সংস্কার শুরু করায় হিতে বিপরীত হয়েছে। নিয়মিত রাজস্ব আদায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

ফলে চলতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com