
ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি গণেশ জুলাই আন্দোলনকে ‘তথাকথিত’ আন্দোলন বলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্ট পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিসরে আমরা নীতি-নৈতিকতার চর্চা দেখতে চেয়েছি, সত্যকে সত্য ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলে নিজের ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃত ভুল অকপটে স্বীকার করার পরিসর দেখতে চেয়েছি।’
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতির সাম্প্রতিক দুঃখপ্রকাশকে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেন। সভাপতি ‘জুলাই বিপ্লবকে তথাকথিত’ বলায় দুঃখপ্রকাশ করেন এবং কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে নিজের ভুল অকপটে স্বীকার করেন।
এ প্রসঙ্গে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই মন-মানসিকতাকে আমরা শ্রদ্ধা করি এবং স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি, আগামীতেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন সততা ও স্বচ্ছতার চর্চা বজায় থাকবে।’
তবে তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘বিপ্লবের মাসগুলো পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত নেই কোনো সরকারিভাবে ঘোষণা, কিংবা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।’ এই নিরবতা বিপ্লবের পেছনের লক্ষ্য কোটি সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগকে তাচ্ছিল্য করার শামিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক উদাহরণ তুলে ধরে হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, তিউনিসিয়ার জেসমিন বিপ্লব, বলিভিয়ার ডেমোক্রেটিক ও কালচারাল বিপ্লব এবং নেপালের গণআন্দোলনের পর সেইসব দেশের সংবিধানে বিপ্লবের কথা সরাসরি স্বীকৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, 'এহেন শত সহস্র উদাহরণ এই পৃথিবীতে রয়েছে, যেখানে একটি বিপ্লবকে সংবিধানের মাধ্যমে জাস্টিফাই এবং রেটিফাই করা হয়েছে, যাতে কেউ কোনোদিন জনতার বিপ্লবকে অপমান, তাচ্ছিল্য কিংবা ছোট করার সাহস না পায়। এটাই নিয়ম। এটাই স্বাভাবিকতা।'
শেষে হুঁশিয়ার করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব জুলাই বিপ্লবকে সাংবিধানিকভাবে বাধ্যবাধকতার মধ্যে না আনলে, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হওয়ার মতো বক্তব্য হয়ত সামনে আরো শুনতে হবে।'
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ বদরুল আলম -০১৭১২৯৫৭০৬৬,
নির্বাহী সম্পাদকঃ সফিক ইসলাম,-০১৭১৬৪৯২৪১৫,
বার্তা সম্পাদকঃ আব্দুর রহিম-০১৭১৫৮৪৪১৬২
Copyright © 2024 Protidinerjonopod