Breaking News :

ভাঙ্গুড়ায় পরকীয়ায় ধরা পল্লী পশু চিকিৎসক, প্রেমিকা দুই সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে উত্তম-মাধ্যম এর শিকার হয়েছে সেলিম(২৫) নামের এক পল্লী পশু চিকিৎসক । শুক্রবার(১১ এপ্রিল) গভীর রাতে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নে আদাবাড়িয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য সালিশে ৬ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে বিবাহের মাধ্যমে ও স্থানীয় গ্রাম্য প্রধানকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে রেহাই পেয়েছেন ওই পল্লী চিকিৎসক। সেলিম আগবহর এলাকার রশিদ প্রামানিকের ছেলে ও এক সন্তানের জনক। তিনি পেশায় একজন পল্লী পশু চিকিৎসক এবং আদাবাড়িয়ার গ্রামের পার্শ্ববর্তী পাটুল এলাকায় তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেলিম পেশায় একজন পল্লী পশু চিকিৎসক ও দিলপাশার ইউনিয়নের পাটুল বাজার এলাকায় তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে এবং তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পশু চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। অপর দিকে আদাবারিয়া গ্রামের জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী পিয়ারা খাতুন (ছদ্মনাম) দীর্ঘদিন যাবত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের পরিচয় ঘটে । এরপর দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি স্থানীয় একাধিক জনতার দৃষ্টিতে সামাজিকতার আপত্তিকর দিকটি আসলে তাদেরকে নিষেধ করা হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। পিয়ারা খাতুনের স্বামী বিদেশ থাকায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ঘটনার দিন গভীর রাতে পল্লী পশু চিকিৎসক সেলিম গোপনে পিয়ারা খাতুনের সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয় জনতা তাদেরকে হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদেরকে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে আটকে রাখে। পরের দিন গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে স্থানীয় গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের নামে সেলিম এর কাছ থেকে সালিশের খরচ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন স্থানীয়রা গ্রাম্য প্রধানরা। এর পরবর্তীতে ৬ লক্ষ টাকা কাবিন এর মাধ্যমে ওই জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীর পিয়ারা খাতুন এর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে সালিশে বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপি-র নেতা লিটন আহম্মেদ কে বাব বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন না রিসিভ করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এ বিষয়ে জানতে ওই মহিলার চাচার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল টি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে ঘটনার বিষয়ে আদাবাড়িয়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, সালিশের ওই দিন তিনি দাওয়াত ব্যক্তিগত কাজে এলাকার বাহিরে ছিলেন কিন্তু তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। সালিশের খরচ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন স্থানীয়রা গ্রাম্য প্রধানরা। এর পরবর্তীতে ৬ লক্ষ টাকা কাবিন এর মাধ্যমে জনৈক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীর পিয়ারা খাতুন এর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জেনেছেন মর্মে স্বীকার করেছেন।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com