ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের জায়গা কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়ে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগসহ বেশ জনের বিরুদ্ধে। ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রেল রুটের ভাঙ্গুড়া পৌর সদর এলাকায় রেল লাইনের মাত্র ২০ গজ দূরেই এই ভবন নির্মাণ চলছে। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলওয়ের জমিতে কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়ে অনুমোদন বিহীন অবৈধ ভাবে ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই। সারাদেশ রেলের জমিতে অবৈধ ভবন গুলির বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বাণিজ্যিকীকরণ করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তারা হলেন,উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মহির উদ্দীন, মন্ডতোষ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো.আরশেদ আলী, পাটুলিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ,সাবেক ইউপি সচিব গোলাম আম্বিয়া, ডি এম আব্দুস সাত্তার, প্রভাষক মো. কুরবান আলী,আব্দুল মতিন।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর রেললাইনের বড়াল ব্রিজ স্টেশনের পশ্চিম পাশে রেলওয়ের প্রায় এক একর পুকুর বালু ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে প্রায় চার হাজার বর্গফুটজুড়ে একটি ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ করে পুনরায় আরেকটি ভবনের কাজ শুরু করেছে নির্মাণ শ্রমিকরা। আশপাশে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তবে পাশেই কয়েক বছর আগে অবৈধভাবে নির্মানাধীন একটি বহু দল ভবন নির্মাণ করতে গেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে বাধা প্রদান করলে ওই ভবনের নির্মাণ কাজ আর এগোয় নি। কিন্তু কয়েক বছর পর তার পাশেই আবার নতুন করে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সেখানে রেলের পুকুরে আগে মাছের চাষ করা হতো। ৪ বছর পূর্বে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে পুকুর ভরাট শুরু করেন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতারা । এ বিষয়ে কয়েকটি পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। উপজেলা প্রশাসন বালু ভরাট বন্ধ করে দেয়। পরে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে পুকুরটি আবার ভরাট করা হয়। এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মহির উদ্দিন বলেন,দুই বছর পূর্বে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। তাই ভবন নির্মাণ করছি। এতে আপনাদের সমস্যা কি হয়েছে ?
এ বিষয়ে অবৈধ দখলদার কোরবান আলী বলেন, ভবন নির্মাণের লিখিত কোন অনুমতি নেই তবে উল্লাপাড়া রেলওয়ের কানুনোগো শরিফুল ইসলাম তাদেরকে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন।
কিন্তু ঘটনার বিষয়, উল্লা পাড়া এলাকার রেলওয়ে কানুনোগো মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান এ ধরনের কথা কারো সঙ্গে হয়নি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (পশ্চিম) রেজাউল করিম বলেন, রেলের জায়গাতে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই। সারাদেশে রেলের জায়গাতে অবৈধ ভবন উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, রেলের জায়গায় ভবন নির্মাণ হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। নির্মাণধীন ভবনের ছবিসহ পাকশী রেলওয়ে কর্মকর্তাকে প্রেরণ করেছি। তারা যদি আমাদের সহযোগিতা চায় তাহলে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ বদরুল আলম -০১৭১২৯৫৭০৬৬,
নির্বাহী সম্পাদকঃ সফিক ইসলাম,-০১৭১৬৪৯২৪১৫,
বার্তা সম্পাদকঃ আব্দুর রহিম-০১৭১৫৮৪৪১৬২
Copyright © 2024 Protidinerjonopod