ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তিন ফসলী প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে গভীর রাতে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে ৮/১০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফরিদপুরের ইট ভাটায় বিক্রি করেছেন। গত ৩-৪ দিন যাবত রাত আটটার পর থেকে কাক ডাক ভোর পর্যন্ত এমন কর্মযজ্ঞ চললেও উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা বলছেন, ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায় নি। উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলিপাড়া চর পাড়া গ্রামের এ কাজ চলছে। তবে সহকারি কমিশনার (ভূমি) বলছেন,অভিযান পরিচালনা করা হলেও ধরা যায়নি তাই রেগুলার মামলার কার্যক্রম চলমান ।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের ফজলু নামক এক ব্যক্তির পাটুলিপাড়া (চরপাড়া) গ্রামের বগার বিল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় প্রায় পাঁচ বিঘা তিন ফসলী জমি রয়েছে। পাট,সরিষা ও ধানসহ বিভিন্ন ধরনের তিন ফসলী ওই জমিগুলোতে পূর্বে কৃষি আবাদ হতো। গত ২০২৪ সালের প্রথম দিকে এই জমিতে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে অবৈধ উপায়ে পুকুর খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তখন প্রায় দুই তিন দিন কাজ করার পর ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার খবর পেয়ে স্কেভেটর মেশিন রেখে তারা পালিয় যান। কিন্তু এরপর থেকে ওই জমিতে অনুমোদনবিহীন পুকুর খনন কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর পর পুনরায় হঠাৎ করেই গত তিন চার দিন ধরে রাত আটটার পর থেকে কাক ডাকা ভোর পর্যন্ত স্কেভেটর দিয়ে ৮/১০ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে ড্রাম ট্রাকযোগে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুরে ইটভাটায় বিক্রি করছেন।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, সারাদিন পরিশ্রম করে রাত্রিতে একটু শান্তিতে যে ঘুমাবো তার সুযোগ নেই। আমরাও ঘুমাতে যাই আর মাটি ব্যবসায়ীদের মাটি কেটে ট্রাক ও কুতুব গাড়ি দিয়ে মাটি বহন করা শুরু হয়। প্রচন্ড শব্দে রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারি না। কার কাছে বললে এর সঠিক সুরাহ পাব তা বুঝে উঠতে পারছি না। তারা মাটি কাটলে দিনই কাটতে পারেন। তাও তো অন্তত রাতে ঠিকঠাক মতো ঘুমোতে পারি।
খননকৃত ওই তিন ফসলী জমির পাশের জমির একাধিক মালিক জানান, তাদের ফসলি জমির পাশে ৮/১০ দশ ফুট গভীর করে পুকুর খনন করলে আমাদের জমিতে আবাদ ঠিক মতো হবে না । তারা আরো বলেন, গত বছর শুরু করেছিলেন পুকুর খনন কাজ। কিন্তু প্রশাসনের বাঁধায় ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে পারেন নাই। এ বছর তারা আটঘাট বেঁধে লেগেছে। তারা আরো বলেছেন এ বছর প্রশাসন তাদের কিছুই করতে পারবেন না।
ঘটনার বিষয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজি বলেন, অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাদের ধরা যায়নি। তাই রেগুলার মামলা কার্যক্রম চলমান।
ঘটনার বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার বলেন, নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ বদরুল আলম -০১৭১২৯৫৭০৬৬,
নির্বাহী সম্পাদকঃ সফিক ইসলাম,-০১৭১৬৪৯২৪১৫,
বার্তা সম্পাদকঃ আব্দুর রহিম-০১৭১৫৮৪৪১৬২
Copyright © 2024 Protidinerjonopod