প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ৭:২০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ১৭, ২০২৫, ৩:১৬ পি.এম
শ্রেণিকক্ষে হইচই করতে নিষেধ করায় শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষককে মারপিট!

পাবনার আটঘরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে হৈচৈ বন্ধের জন্য নিষেধ করায় শিক্ষককে মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে এইচএসসি শিক্ষার্থী মুন্না গ্রুপের সদস্যরা। এঘটনায় শিক্ষকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তাকে আহত অবস্থায় আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ জানুয়ারি বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের পাশে।
এবিষয়ে আটঘরিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান বাদী হয়ে শিক্ষার্থী মুন্নাদহ ৪/৫ জনের নামে আটঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুজ্জামান সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগের ছায়া লিপি হতে জানা যায়, ঘটনার দিন অত্র কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক মজনুর রহমান ক্লাশ নিচ্ছিলেন। এসময় পাশের ক্লাশে মুন্নাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জন্ম দিনের কেক কাটা নিয়ে হৈচৈ শুরু করে।
এসময় শিক্ষক তাদেরকে হৈচৈ করতে নিষেধ করেন। বেলা আড়াইটার দিকে উক্ত শিক্ষক বাড়ি যাওয়ার পথে ঔঁৎ পেতে থাকা মুন্নাসহ ৪/৫ জন লাঠি সোঠা নিয়ে কলেজ রোডের টিনের ঘরের কাছে পৌঁছা মাত্রই উক্ত শিক্ষককে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়।
এসময় আহত শিক্ষক মনজুর রহমানের ডাকচিৎকারে অন্য শিক্ষকরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বখাটে মুন্না একজন শিক্ষার্থী হয়ে স্যারকে মেরেছে এটা চরম অপরাধ করেছে। আমরা সব শিক্ষার্থী হয়ে বখাটে মুন্নার সঠিক বিচার দাবি করছি।
আহত শিক্ষক মনজুর রহমান জানান, ওই বেলা সাড়ে নয়টার দিকে রুটিন মাওফিক ক্লাস নিচ্ছিলাম। পাশের রুমে কোন এক শিক্ষার্থীর জন্ম দিনের কেক কাঁটার জন্য সবাই একসঙ্গে হৈচৈ চেচামেচি করতে থাকে। এমনতাবস্থায় আমি তাদেরকে হৈচৈ করতে নিষেধ করি।
এক পর্যায় কেক কাটা বন্ধ করে ওই শিক্ষার্থীরা চলে যায়। পরে ক্লাস শেষে করে আমি হেলমেট পড়ে বাড়ি যাওয়ার পথে কলেজ রোডে শিক্ষার্থী মুন্না সহ ৪/৫ আমার চলার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমাকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক মারপিট করে ফোলা জখম অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে আমার আমার চিৎকারে অন্যান্য শিক্ষকরা দ্রুত এসে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
আটঘরিয়া সরকারি মহাবিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জানান, শিক্ষক মনজুর রহমানকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে এটা একটা দুঃখজনক বিষয়। এঘটনার তাৎক্ষণিক আটঘরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দ্রুত ওই শিক্ষার্থী মুন্না সহ যারা এঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতারের জোর দাবি করেন শিক্ষক বৃন্দ।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ বদরুল আলম -০১৭১২৯৫৭০৬৬,
নির্বাহী সম্পাদকঃ সফিক ইসলাম,-০১৭১৬৪৯২৪১৫,
বার্তা সম্পাদকঃ আব্দুর রহিম-০১৭১৫৮৪৪১৬২
Copyright © 2024 Protidinerjonopod