পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ৫ দোকান-বাড়িতে ডাকাতি: ৪০ ভরি সোনা,২০ লক্ষ টাকা লুট
ভাঙ্গুড়ায় ভূমি অফিস দালাল মুক্ত হোক

মোঃ বদরুল আলম , সম্পাদক , প্রতিদিনের জনপদ।
ভাঙ্গুড়ায় ভূমি অফিস দালাল মুক্ত হোক সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে,
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভূমি অফিস গুলিতে দালালের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত সেবা নিতে অনেক সাধারণ গ্রাহককে দালালের মোটা অঙ্কের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। অজ্ঞতার কারণে অনেকে মনে করেন দালালের মাধ্যমে ভূমি অফিসে নামজারি, মিউটেশন ও দাখিলাসহ ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে গেলে অতি দ্রুত সেবা পাওয়া যায়। কিন্তু ভূমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দাবি, বর্তমানে অনেক কাজই অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহক ভূমি সেবা আবেদনের মাধ্যমে সেবা পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কোন ধরনের দালাল ধরা কিংবা অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই। ভাঙ্গুড়া উপজেলা ভূমি অফিস, পৌর ভূমি অফিস ও ৫টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে। ভূমি অফিস গুলোতে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারীর বাহিরে চুক্তিভিত্তিক একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন যারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি নাড়াচাড়া করে থাকেন। প্রায় সকল ইউনিয়ন ভূমি অফিস গুলিতে কমবেশি নামজারি, দাখিলা, মিউটেশনের কাজ করতে গেলে অনলাইন অবেদন করতে হয়। আর এই ধরণের আবেদনে এক শ্রেণির দালালেরা গ্রহকদের সহযোগিতার নামে সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন অতিরিক্ত অর্থ।
তবে ওই সকল দালালেরা দ্রুত কাজ বের করে দেওয়ার নামে এই অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করছেন ভূমি অফিসের অসাধু কর্মচারীর যোগসাজসে। এক্ষেত্রে ভূমি সেবা গ্রহীতারা কতিপয় দলিল লেখক, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ভূমি সেবা গ্রহণে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে আসছেন। জমি রেজিস্ট্রি করতে গেলে হাল সনের দাখিলা প্রয়োজন পড়ে। আর যার কাছে জমি রেজিস্ট্রি করতে যান এই দলিল লেখকের পরিচিত কোন মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে হাল সনের দাখিলা সংগ্রহ করে থাকেন। অপরদিকে ক্রয় করার পর নতুন জমির নামজারির প্রয়োজন দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে অনেক গ্রাহক সরাসরি ভূমি অফিসে যোগাযোগ না করে ওই দলিল লেখকের পরিচিত কোন পক্ষের সঙ্গেই দর কষাকষি শুরু করেন। এরপর প্রতি নামজারিতে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকার চুক্তি করে নামজারীর জন্য আবেদন করিয়ে দেন। চুক্তি অনুযায়ী ওই দলিল লেখকের পরিচিত কেউ কিংবা ভূমি অফিসের উদ্যোক্তারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের শর্তে আলোচনার মাধ্যমে ভূমি সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস্ত করেন।
এছাড়াও ভুমি অফিসে সরকারি নিয়োগ ছাড়াই একাধিক ব্যক্তি রয়েছে যারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি নাড়াচারা করে থাকেন। তাদের মাধ্যমেও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত কত্তারা সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে সুবিধা আদায় করে থাকেন। এই ভাবে দলিল লেখক অফিসের আশেপাশে ঘোরা ফেরা করা অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা ভূমির মালিক ও ভূমি সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদের মধ্যস্বত্তভোগী হিসেবে মোটা অঙ্কের বিশেষ সুবিধ আদায় করে থাকেন। অনেক ভূমির মালিকের ধারণা,বিশেষ লোকের বা দালালের মাধ্যমে না গেলে হয়তো তারা কাঙ্ক্ষিত ভূমি সেবা পাবেন না । আবার ভুমি অফিসের অনেক কর্মচারী রয়েছেন যারা সেবা গ্রহীতা সাধারণ মানুষের সাথে ভালোভাবে কথা বলেন না অথবা অফিসে প্রচুর কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন।
তাই, ভুমি অফিসে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত হোক। দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ করে জনতার সেবা নিশ্চতকরণ জরুরী হয়ে পড়েছে।