খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার
ভাঙ্গুড়ায় মসজিদের ৪৩ বিঘা পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে!

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মসজিদের প্রায় ৪৩ বিঘা পুকুর প্রভাবশালীদের দখলে রেখেছেন। উপজেলার অষ্টমণিষা ইউনিয়নের গদাই রুপসী গ্রামের জামে মসজিদ ওই সম্পত্তি ওয়াকফ এস্টেট অন্তভুক্ত হলেও মোতওয়াল্লিকে বুঝে দেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ উঠেছে। আর মসজিদ কমিটির নামে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুগ যুগ ধরে ঐসব পুকুর নিজেদের দখলে রেখেছেন।
জানা গেছে, গদাই রুপসী গ্রামের জামে মসজিদটির নামে বড় বড় চারটি পুকুর রয়েছে । যার আয়োতন ১৪ দশমিক ৫২ একর বা প্রায় ৪৩ বিঘা। সেখানে প্রাকৃতিক ভাবে প্রচুর মাছ উৎপাদন হয়। এখান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় হয়। সেখান থেকে নাম মাত্র মসজিদে দিয়ে বেশির ভাই প্রভাবশালীদের পকটে যায়। কিন্তু গত ২০০৭ সালে এই মসজিদের সকল সম্পত্তি ওয়াকফ এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ঐ গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেন কে মোতওয়াল্লিনিযুক্ত করা হয়। কিন্তু আজ অবধি প্রভাবশালীদের দাপটে তিনি মসজিদের সম্পত্তি দেখ ভালের জন্য সক্রিয় হতে পারেন নি।
গদাই রুপসী গ্রামের নুরুল ইসলাম ও জালাল উদ্দিন বলেন, ১৭ বছর আগে এই মসজিদের সকল সম্পত্তি ওয়াকফ এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০২২ সালে একজন মোতওয়াল্লি নিযুক্ত করা হয়। তারপরও পূর্বের কমিটি অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখে মসজিদের সম্পদ আত্নসাত করছেন। মোতওয়াল্লি মোতালেব হোসেন বলেন,পূর্ব কমিটির কথিত সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ গংয়েরা প্রতি তিন বছর অন্তর মসজিদের পুকুরগুলো লিজ দেন এবং এখান থেকে প্রাপ্ত প্রায় বিশ লক্ষ টাকা নিজেরা হাতে নেন। মোতওয়াল্লি নিযুক্ত হওয়ার পর তিন বছর চলে গেলেও তিনি দায়িত্ব বুঝে পান নি। উপরন্ত তারা মামলা-হামলার হুমকি দিচ্ছেন।
অপরদিকে মসজিদ কমিটির কথিত সেক্রেটারি আব্দুল আজিজ বলেন, রেকর্ড অনুযায়ী সম্পত্তির মালিক গদাই রুপসী জামে মসজিদ। তাই গ্রামবাসী দ্বারাই মসজিদ পরিচালিত হবে। তারা ওয়াকফ এস্টেটের মোতওয়াল্লির কাছে দায়িত্ব বুঝে দিতে রাজি নন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার ঘটনার বিষয়ে বলেন, গদাই রুপসী জামে মসজিদ পরিচালনায় মোতওয়াল্লিসহ সদস্যরা সক্রিয় হলে তিনি প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।