পাবনা সদর উপজেলায় ভাউডাঙ্গা কালুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ হোসনেয়ারা বিরুদ্ধে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অভিভাবকরা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। বিভিন্ন অনিয়ম দুর্তীতি করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা গেছে। জেলা সদরের ভাউডাঙ্গা কালুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ স্থানীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেয়া হয়। কিন্তু ভাউডাঙ্গা কালুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ হোসনেয়ারা কৌশলে শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত টাকা শিক্ষার্থীদের না দিয়ে বিভিন্ন মোবাইলের মাধ্যমে টাকা গুলো হাতিয়ে নিচ্ছেন।তারা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতিতেও তাদের বৃত্তির টাকা উত্তোলন করেন বলে অভিযোগে রয়েছে।
ভাউডাঙ্গা কালুর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রখম শ্রেণির শিক্ষার্থী মায়শার মা হাসিনা খাতুন বলেন, আমার মেয়ে মাইশা টাকা আজ দিবো কাল দিবো বলে প্রায় তিন বৎসর পর অনেক ঝগড়া করে গোলমাল করে এবং আমি এর প্রতিবাদ করলে ১৫দিন আগে আমার মেয়ের ৯০০ টাকা আসছে। অনেকে ঘটনা বুঝতে পারলে কয়েকজন অভিভাবকে তাদের টাকা পরে ফেরত দেয়ার কথা বলে টালবাহানা করা হয়।
আরেক অভিভাবক রেখা বেগম নামে বলেন, আমার ছেলে মো.জিলকদ নাইমরাজ ৫ম শ্রেণিতে পড়ে আমার ছেলে এখন পর্যন্ত কোন টাকা পাই নাই। প্রধান শিক্ষকে বিষটি বার বার বলার পরে উনি কাছে যখন যাই তখন উনি বলেন আপনার ছেলের উপবৃত্তির টাকা ভুলে অন্য মোবাইলে যায়।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া বিথি খাতুন এবং বিথি খাতুনের মা হীরা খাতুন গর্ব করে বলে আমার মেয়ে তো নিয়মিত টাকা পায়।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া সিজান বিশ্বাস নামের অপরজনকে ৪র্থ শ্রেনির ছাত্র সাজিয়ে টাকা উত্তলোন করে নেন প্রধান শিক্ষক। বাস্তবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া সিজান বিশ্বাস কোন টাকা পায় না। সিজান বিশ্বাসের মাকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে অথচ তাকে ৪র্থ শ্রেনির ছাত্র সাজিয়ে টাকা উত্তলোন করে নেন প্রধান শিক্ষক । আমার তার কাছে খাতা দেখতে চাইলে তিনি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে দেন।
এলাকার অভিবাকদের কাছে প্রধান শিক্ষক কথা জানতে চাইলে তারা বলেন , এই প্রধান শিক্ষক টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা মিলে প্রায় তিন বছর পুর্বেই আমারা শিক্ষা অফিসে অভিয়োগ দিয়েছি। দুই বার তদন্তও হয়েছে কিন্তু তিনি বিভিন্ন মহল থেকে তদবির করে পার পেয়ে যান।
তবে অভিযোগ স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার ভুল হয়েছে এবং বিষয়টি আমার অজ্ঞতার কারনে হয়েছে। ৩ বৎসর পুর্বের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিষয়টি তদন্ত হয়েছে বলে এরিয়ে যান।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ বদরুল আলম -০১৭১২৯৫৭০৬৬,
নির্বাহী সম্পাদকঃ সফিক ইসলাম,-০১৭১৬৪৯২৪১৫,
বার্তা সম্পাদকঃ আব্দুর রহিম-০১৭১৫৮৪৪১৬২
Copyright © 2024 Protidinerjonopod