Breaking News :

লোহাগড়া উপজেলা ইন্জিনিয়ারকে ম্যানেজ করে চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে রাস্তার কাজ।

রিপোর্টারঃ-মোসাঃ সুমনা বেগম-নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর এলাকায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ করছেন মেসার্স তোফায়েল এন্টার প্রাইজ কর্তৃক।কাজের প্রাক্কলিক মুল্য ১১৫৭৫১৯৬,৮০ ও চুক্তি মুল্য ১২১৫৩৯৫৫,৮০ এবং ৫% (উদ্ধদর)ব্যয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে ঠিকাদার টিক্কা খান রাস্তার কাজ টি করছেন।উক্ত রাস্তার কাজ টি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৭/৩/২০২৩ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৭/৮/২০২৩
কিন্তু সেই কাজটি কোন রকম নিগি ডিগির মধ্যে দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি মধ্যে দিয়ে করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার কাজে ব্যবহার হচ্ছে পিগ্ৰাফ (সাদাবালু)সহ ধুলা বালি মিশ্রিত সামগ্ৰী দিয়ে ও রাস্তার উপর ১০/১৫ দিন পূর্বে প্রাইিম কোড করে রাখার ফলে মাটি ও ধুলায় মিশ্রিত হয়ে কাঁদায় পরিনত হয়ে যায়, অথচ ওই কাঁদার উপর ই পিচ ঢালায় দিচ্ছেন।এবং ২৫ মিলি পিচ ঢালায় দেওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার মাত্র ১৭ মিলি দিচ্ছেন।ঠিকাদার টিক্কা খানের কাছে রাস্তা কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রাস্তার কাজ ল্যাবে পরীক্ষা হবে বলে সাংবাদিকদের ভূগোল পড়িয়ে ধামাচাপা বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করে।ঠিকাদার টিক্কা খান আরো বলেন পিগ্ৰাফ না দিলে রাস্তার কাজ মজবুত হয়না,তাই আমরা কিছু পিগ্ৰাফ(সাদা বালু)ব্যবহার করছি বলে অন্যন্য বিষয় এড়িয়ে যায়।

উপজেলা ইন্জিনিয়ার কাজী আবু সাঈদ মোঃ জসীমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো বলে জানান।এবং কত মিলি পিচ ঢালাই হওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সিডিউলে উল্লেখ আছে ২৫ মিলি।এবং বাকি বিষয় গুলো নয়ছয় বুঝিয়ে তিনি ও এড়িয়ে যান।

নাম বলতে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন,লোহাগড়া উপজেলা ইন্জিনিয়ার সাহেব,অফিসে বসে বসে কি করেন? তিনি কি অফিসে বসে অপেক্ষা করেন ঠিকাদাররা কখন আসবেন? এবং তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিবেন।নিশ্চয়ই ইন্জিনিয়ার ও ঠিকাদার দের সম্পর্কের মধ্যে রাস্তার কাজের আড়ালে মোটা অংকের হিসাব কিতাব আছে?

সর্বোপরি এলাকাবাসীরা বলেন,জেলা ইন্জিনিয়ার সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে এসে আমাদের
রাস্তার কাজ টি দেখে ও বুঝে সঠিক ভাবে করতে নির্দেশ দিক।এবং দুর্নীতিবাজ দের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com