খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার
বরগুনায় দুর্বৃত্তের আগুনে ভিটেমাটি সর্বশান্ত করে দিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার বরগুনা-বরগুনা সদর উপজেলার, ৫ নং আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের,জাঙ্গালিয়া গ্রামের,মোশারফ হোসেন এবং তার স্ত্রী খালেদা বেগম দুর্বৃত্তের আগুনে ভিটে মাটি সর্বহারা হয়ে পড়েছে।এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেনের মেয়ে,কলি আক্তার(২৬)সাংবাদিকদের জানান,আমি আমার সন্তান সহ মা বাবার সাথে একই ঘরে অবস্থানকালে,গভীর রাতে পেট্রোল ঢেলে আমাদের ঘরের চারপাশে কে বা কাহারা আগুন ধরিয়ে দেয়।আমার বাবা কোন রকম আমাদের কে বের করতে সক্ষম হয়।আমার ধারনা এই কাজ আমার স্বামী হেমায়েত হোসেন (৩৫)দলবল নিয়ে করেছে।কারন বিয়ের শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমি অত্যাচারিত হয়ে তাঁকে ডিভোর্স দেয়ার পরও সে আমাকে কষ্ট দিয়ে আসছিল।

আমি ২০১৩ সালে এস এস সি পরীক্ষার পর জাঙ্গালিয়া গ্রামের হেমায়েত হোসেনের সাথে পারিবারিক প্রস্তাবের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হই।তখন আমার বয়স ১৬ বছর ছিল।এরপর ২০১৬ সালে হেমায়েত হোসেনের ঔরশে আমার গর্ভে একটি ছেলে জুনায়েদ ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন।এরপর বিভিন্ন সময়ে আমাকে শারীরিক মানসিক অত্যাচার করা হয়,দাবি একটাই যৌতুক চাই।তখন আমি বললাম আমার বাবা অত্যন্ত গরিব মানুষ।মানুষের বাড়িতে ক্ষেত খামারে শ্রমিকের কাজ করে দু-চার টাকা যা ইনকাম করে তা দিয়ে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে যায়।সেখানে যৌতুক কিভাবে দিবে?এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা দিতে অক্ষম হওয়ার ফলে আমাকে হেমায়েত হোসেন দিন দিন মারধর করতে থাকে।পরবর্তীতে আমি জ্বালা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হই।তারপরও সে আমাকে নানারকম মামলা হামলা দিয়ে অন্যায়ভাবে শারীরিক মানসিক হয়রানির মধ্যে রাখে এবং সর্বশেষ যৌতুক এবং আমাকে না পাওয়ার জেদধরে আমার ভিটেবাড়ি সহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। বিভিন্ন সময়ে ফোনে এবং রাস্তাঘাটে দেখা হলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল এবং গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে আমার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।বর্তমানে একটি টিনের ছাপরা দিয়ে তার মধ্যে আমরা কয়েকটি প্রাণ অবস্থান করছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের জানানো সত্ত্বেও কোন সুফল মেলেনি।তাই আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে,অপরাধীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সহ আমাদের একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার জোর আবেদন জানাচ্ছি।